‘ষড়যন্ত্রকারী আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না’ 

ষড়যন্ত্রকারী আর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী দল হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে, জীবন্ত মানুষের গায়ে পেট্টোল ঢেলে, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, যারা নিজের জন্ম তারিখ বদলে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না।     

সোমবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও জেনারেল জিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আপনারা ষড়যন্ত্রও করবেন আবার সংলাপও করতে চাইবেন এটি তো হতে পারেনা। ভুয়া জন্মদিন পালন করে ১৫ই আগস্ট কেক কাটবেন, শিশু কিশোরদের ঘাড়ে চড়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করবেন, দেশে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করবেন আবার সংলাপের কথা বলবেন সেটি তো হতে পারেনা। যারা পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুনে পুড়িয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আগুনে জ্বলসে দিয়েছে, বিভিন্ন সময় যারা এই দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, যারা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অপ-রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে এবং যারা ১৫ই আগস্ট কেক কাটে তাদের সাথে সংলাপ কোন অবস্থাতেই হতে পারে না। সরকার কিংবা আমাদের দল এমন দৈন্যদশায় পৌঁছাইনি যে, কানাডার আদালতে যে দল সন্ত্রাসী দল হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে সেই দলের সাথে সংলাপ করতে হবে।

সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন তো সরকারের অধিনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কালীন সময়ে সরকার শুধু রুটিন দায়িত্ব পালন করে মাত্র। বিএনপি চাইলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করতে পারে।  

যারা বলেন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই না তাদেরকে অনুরোধ জানাবো সংবিধান এবং নির্বাচনী আইন ভালোমতো পড়েন। নির্বাচন সরকারের অধীনে শুধু এখানে হয় না, ভারত, ইংল্যান্ড, জাপান, অষ্ট্রেলিয়াতেও নির্বাচন কমিশনের অধিনেই অনুষ্ঠীত হয়।    

কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্তদের তালিকা প্রকাশের দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর স্বার্থে, ইতিহাসকে কালিমা মুক্ত করার স্বার্থে এবং সত্য উদ্ঘাটনের জন্য, একটি কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানসহ আর কারা জড়িত ছিল, তাদের একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাশের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

আআ/এসি